প্রিপারিং ফর বিজনেস নট ফর বিসিএস

আরো বিজনেস আইডিয়া ও লেখা আসছে...

পাইকারি ও কম দামে ঢাকার কোথায় কি পাওয়া যায়!

অনেকেই অনেক সময় জানতে চেয়েছেন ঢাকার কোথায় কোন আইটেম পাইকারি দরে পাওয়া যায়। আমরা সেগুলোর উত্তর দেয়ার চেষ্টা করেছি। তবে এবার আর কোন একটা স্পেসিফিক যায়গা নয় বরং ঢাকার কোথায় কোন আইটেমগুলো আপনি সবচেয়ে সস্তায় পাবেন তার বিস্তারিত একটা লিস্ট আপনাদের সামানে তুলে ধরার চেষ্টা করছি, সাথে থাকছে এলাকার সংক্ষিপ্ত একটা দিকনির্দেশনা। আশা করি আপনার ব্যবসায়ের কাঙ্খিত আইটেম খোঁজে পেতে একটু হলেও সহজ হবে।

#চকবাজার
পুরোন ঢাকার লালবাগে অবস্থিত একটি জনপ্রিয় বাজার। প্রসাধনী, ইমিটেশন, হুঁশিয়ারী, খেলনা, বিয়ে নানা ও বার্থডের আইটেম সবচেয়ে সুলভ মূল্যে পাওয়া যায়। তাছাড়া রমজান মাসে রকমারি এখানে রকমারি ইফতারের পশরা বসে। কাবাবের কথা আসলেই চকবাজারের নামটিও আসবে। চকবাজারের কাবাব খুব বিখ্যাত। ঢাকার পুরানো বাজারগুলির মধ্যে চক অন্যতম।

#মৌলভীবাজার
মসল্লা, তেল, চিনি, ময়দা, সাবান, পেষ্ট, বেবি ফুড ও রান্না করার জাতীয় মনোহারী মাল এবং দৈনিন্দ প্রয়োজনীতার মালামাল।

#বেগমবাজার
দেশি বিদেশি বিষ্কুট এবং চকলেট ও সিগারেট, ওয়ান টাইম আইটেম, টিসু, পলি ব্যাগ, ওভেন ব্যাগ, কেক বিস্কিট তৈরির বক্স ইত্যাদি

#উর্দু_রোড
দেশি বিদেশি গার্মেন্টস এবং হুসিয়ারী

#বংশাল
নানা ধরণের লৌহ আইটেম যেমন প্লেন শিট, রড, জি আই পাইপ, এবং প্লাস্টিকের পাইপ, স্যানেটারি আইটেম এবং নতুন সাইকেল, রিকশা এবং এর নানা যন্ত্রাংশ পাওয়া যায়।

#নবাবপুর_রোডঃ
গুলিস্থানের কাছেই এবং বংশালের পূর্বপাশে। কল-কারখানার নানা ধরণের মেশিনারী, কৃষি যন্ত্রপাতি, মটর, ইঞ্জিন, গৃহ ও কারখানার নানা ইলেক্ট্রিক্যাল প্রোডাক্ট যেমন বাল্ব, সুইচ, হোল্ডার, ফ্যান, তার, হোস পাইপ, টিভির যন্ত্রাংশ ও পিকচার, বেল্ট, ফিতা ইত্যাদি পাওয়া যায় খুচরা ও পাইকারিতে। বলতে গেলে নবাবপুর রোড হল বাংলাদেশে ইলেট্রিকাল ও মেকানিক্যাল আইটেমের সবচেয়ে বড় বাজার।

#ঠাটারি_বাজার
কমদামে মুদি সামগ্রি, নানা ধরণের মশলা, মুরগি, ছাগল, পোষা পাখি ও পশু পাবেন এখানে।

#শাঁখারি_বাজারঃ
শাঁখারি বাজার মূলত হিন্দু মহিলাদের হাতে শাঁখার জন্য বিখ্যাত। এছাড়াও এখানে আছে অনেক স্বর্ণকার যারা স্বর্ণের নানা অলংকার তৈরি করে বৃক্রি করে থাকে এবং অলংকার বন্ধক রেখে টাকাও দেয়। পূঁজার নানা আইটেমের জন্য বিখ্যাত। এখানে পাওয়া যায় শীল-পাটা, সমাধি ফলক, কাসার জিনিসপত্র, হারমোনিয়াম ইত্যাদি।

#রাইসা_বা_রায়সাহেব_বাজারঃ
গুলিস্থান থেকে বাসে সদরঘাট যেতে পরে এবং নবাবপুর রোডের একেবারে শেষ মাথায় অবস্থিত। এখানে নাট-বল্টু, সেফটিং রড় এবং ত্রিপল পাবেন।

#রথখোলাঃ
ঢাকার সবচেয়ে বড় দুধের আড়ত অবস্থিত এখানে। নবাবপুর রোডের প্রায় শেষ মাথায় এটি অবস্থিত।
ছাতা, বিভিন্ন অ্যাপ্রন, টর্চ লাইট, চার্জার লাইট এবং ফ্যান, তালা, চাবীর রিং, কেচি, চাকু, নেইল কাটার, সেইভিং সেট, প্লাস্টিক রশি, মাছ ধরার উপকরণ, খাতা, কলম, পেন্সিল, পরিক্ষা বোর্ড, জ্যামিতি বক্স, চিড়া, তালমিশ্রি, সেমাই, বিরিং, বাংলা চিপস, বাংলা সাবান ইত্যাদি

#চাম্পাতলী_সোয়ারি ঘাট
বাদাম, মসল্লা, সুপারী, দেশি বিস্কিট, খালী ড্রাম, বরফ কল, চিটা গুড়, ঐতিয্যবাহী মাছের আড়ত, বাংলাদেশের সকল প্রকার স্যান্ডাল ও জুতা তৈরি কারখানার হোলসেল সেন্টার

#রহমতগন্জ_ডালপট্টি
যাবতীয় ডাল ও ভূষা মালের আড়ত

#ইমামগঞ্জ_নলগোলা_মিডফোর্ড
যাবতীয় হার্ডওয়ার (তারকাটা, তারবেড়া, পেরেক, করাত, হাতুর, ছেনি, কল কবজা, চটের ও প্লাস্টিক বস্তা, পাটের রশি, ক্রোকারীজ আইটেম সামগ্রী প্লাস্টিক, সিরামিকস, মেলামাইন, ইসটিল ও সিলভার এবং তামার হাড়ি পাতিল, কড়াই, খুন্তি, পাম চুলা, ষ্টপ চুলা, হ্যাজাক লাইট, হাড়ীকেন, বিদেশি সো-পিস, ঔষধ, মেডিকেল ইকুইপমেন্ট।

ঢাকার অদূরে কিংবা ঢাকার বাইরের জেলা শহরগুলোতে অনেক ব্যবসায়ী আছেন যারা তাদের প্রয়োজনীয় পন্য কেনার জন্য ঢাকামূখী হয়ে থাকেন। কিন্তু কোথায় কোন পন্যের পাইকারী বাজার তা না জানার কারনে প্রথম দিকে হোঁচট খেতে হয়। আর নতুন ব্যবসায়ীদের জন্য তো খুজে পাওয়াটা আরও বেশী কষ্টকর হয়ে থাকে।

#বঙ্গবাজার
গেঞ্জি, প্যান্ট, শার্ট সলিড কালার: তৈরি পোশাক (জামা, প্যান্ট, জ্যাকেট, সোয়েটার, গেঞ্জি, জাঙ্গিয়া ইত্যাদি), পাদুকা সামগ্রী এবং শাড়ি কেনা যায়। এখানে এসব পণ্য খুচরা ও পাইকারি হারে বিক্রয় হয়। বিদেশি ক্রেতা ও তাদের স্থানীয় প্রতিনিধিদের যোগান দেওয়া কাঁচামাল ব্যবহারের পর দেশের পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাছে যত কাপড়, সুতা, বোতাম, জিপার ইত্যাদি উদ্বৃত্ত থাকে মূলত সেগুলি দিয়ে তৈরি বলে বঙ্গবাজারের পোশাক দামে সস্তা।

#নিমতলী_পেট_মার্কেট:
পশু পাখির বাচ্চা, খাবার পানির পাত্র, খামারের যন্ত্রপাতি ব্রুডার ইত্যাদি। 

#স্টেডিয়াম_মার্কেট:
নতুন পুরাতন মোবাইল, কম্পিউটার ও অন্যান্য ইলেক্ট্রনিক্স. বঙ্গবন্ধু জাতীয় ষ্টেডিয়ামে দেশের নামকরা ইলেক্ট্রনিক্স মার্কেট অবস্থিত। এখানে প্রায় ৮০০ টি ইলেক্ট্রনিক্সের দোকান রয়েছে। শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৯.০০ টা থেকে রাত ৮.০০ টা পর্যন্ত মার্কেট খোলা থাকে।

এই মার্কেটে এয়ার কন্ডিশনার, রেফ্রিজারেটর, কালার টেলিভিশন (লিড, এলসিডি ও সিআরটি), মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ওয়াশিং মেশিন, রাইস কুকার, টোস্টার, সিলিং ফ্যান, ওয়াটার ফিল্টার, আয়রন, ষ্টীল ক্যামেরা, মুভি ক্যামেরা, মোবাইল ফোন, চার্জার, মেমোরী কার্ড, টিভি কার্ড, ডিস এন্টেনা, রিসিভার, ভিসিডি প্লেয়ার, ডিভিডি প্লেয়ার, সিসি টিভি, নিরাপত্তা সরঞ্জাম এবং গ্যাসের চুলা পাওয়া যায়।

#বায়তুল_মোকাররম_মার্কেট
এ মার্কেটে বিভিন্ন পণ্য পাওয়া যায় বলে কোন বিশেষায়িত মার্কেট বলার সুযোগ নেই। দোতলায় দেশের প্রসিদ্ধ বিভিন্ন জুয়েলারী দোকান রয়েছে। ক্যামেরা, সিডি, ডিভিডি প্লেয়ার, টিভিসহ বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য পাওয়া যায় এখানে। ব্যাগ, ল্যাগেজ, ঘড়ি, চশমা, ক্রোকারিজ, জামা-কাপড়, জুতা, খেলনা ইত্যাদির দোকানও রয়েছে। নিচতলায় নেমপ্লেট লেখার ব্যবস্থা রয়েছে। এই মার্কেটে ইসলামী ফাউন্ডেশন এর বই বিক্রয় কেন্দ্রসহ কয়েকটি আতর, টুপি, পাঞ্জাবী, বোরকা, জায়নামাজ প্রভৃতির দোকানও রয়েছে। এছাড়া মসজিদ প্রাঙ্গণে ইসলামী বই, সিডি, ডিভিডি প্রকৃতিও বিক্রি হয়।

#ধোলাইখাল
সব ধরণের নতুন পুরাতন ইলেক্ট্রনিক্স ও ধাতব যন্ত্রপাতি: ধোলাইখাল নামটিতে খাল শব্দটি থাকলেও এখানে এলে কোন খাল কিংবা জলাশয় খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। পুরনো ঢাকায় নবাবপুর রোডের মোড় থেকে শুরু করে নারিন্দা পর্যন্ত এর বিস্তৃতি। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর পরই ধোলাইখালে পুরোনো যন্ত্রাংশের ব্যবসা শুরু হয়। এখানে ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় হাজার পাঁচেক খুচরা যন্ত্রাংশের দোকান রয়েছে। মোটর পার্টসের দোকান ছাড়াও এখানে রয়েছে ড্রাম শিট, লেদ মেশিন, পুরনো লোহা লক্কড়ের দোকান।
রিকন্ডিশন্ড এই খুচরা যন্ত্রাংশগুলো তারা আমদানি করে চীন, জাপান, মধ্যপ্রাচ্য, পাকিস্তান, সিঙ্গাপুর থেকে। এখানে প্রায় সব মডেলের গাড়ির বিশেষ টয়োটা, নিশান, হোন্ডা, মিৎসুবিশি, সুজুকি, মারুতির যন্ত্রাংশ বেশি পাওয়া যায়। বাস এবং ট্রাকের মধ্যে বেড ফোর্ড, ইসুজু, নিশান, হিনো, ভলভো, টাটা, অশোক লেল্যান্ড, টারসেল, আইয়ার, ক্যান্টার প্রভৃতি গাড়ির যন্ত্রাংশ পাওয়া যায়।

যন্ত্রাংশের দাম জেনে রাখুন: আগেই বলা হয়েছে, যন্ত্রাংশের দাম সম্পর্কে ধারণা না থাকলে এ বাজারে ক্রেতাকে পড়তে হতে পারে বিপাকে। সেক্ষেত্রে দাম জেনে রাখা ভালো। যেমন; সেলফ ১৫শথেকে ২ হাজার ৫শ’, ডায়নামো ১৫শথেকে ২ হাজার, ডিস্ট্রিবিউটর ২ হাজার থেকে ৫ হাজার, কার্বোরেটর ২ হাজার ৫শথেকে ৬ হাজার, ফ্যান মটর ১ হাজার থেকে ২ হাজার ৫শ’, রেডিয়েটর ২ হাজার ৫শথেকে ৭ হাজার, গিয়ার বক্স ২ হাজার থেকে ৭ হাজার, ইঞ্জিন ব্লক ১৫শ’, থেকে ৩ হাজার, পিস্টন সেট ১ হাজার থেকে ২ হাজার ৫শবাল্ব সেট ৫শথেকে ১৫শক্লাচ প্লেট ৫শথেকে ১ হাজার, প্রেশার প্লেট ১ হাজার ৫শথেকে ২ হাজার, অয়েল পাম্প ১ হাজার ৫শথেকে ২ হাজার, এসি পাম্প ৫শথেকে ৮শ’, প্লাগ ১ হাজার থেকে ৩ হাজার, ইঞ্জিন পুুলি ৫শথেকে ১ হাজার ৫শ’, মবিল চেম্বার ৫শথেকে ১ হাজার।
এখানে ইঞ্জিনও পাওয়া যায় বিভিন্ন মডেলের। যেমন; হানড্রেড ভাইভ এ ৩০ হাজার, ফোর ই ২৭ হাজার, নাইন টি ৫০ হাজার, নাই টি ফাইভ এ ৩০ হাজার, ফাইভ কে লাইটএজ ৬০ হাজার, ক্রাউন এক্স ১ লাখ, কোরোনা ফোর এক্স এ্যান্ড থ্রি এক্স ৩৫ হাজার টাকা।

#যেভাবে_ধোলাইখালে_পৌঁছাবেন
গুলিস্তান থেকে ধোলাইখালে রিকশায় আসতে খরচ হয় ৪০ থেকে ৫০ টাকা এবং বাসে খরচ ৫ থেকে ১০ টাকা। মতিঝিল থেকে ধোলাইখালের অবস্থান দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে। মতিঝিল থেকে এখানে বাসে আসা না গেলেও রিকশায় আসা যায় সহজেই। মতিঝিল থেকে ধোলাইখালের রিকশা ভাড়া ৪০-৫০ টাকা। সদরঘাট থেকে পায়ে হেঁটে এখানে আসতে সময় লাগে পনের মিনিট ও রিকশায় খরচ হয় ৩০ টাকা।

#জিঞ্জিরা
নতুন পুরাতন ইলেক্ট্রনিক্স ও ধাতব যন্ত্রপাতি।
জিঞ্জিরায় তিনটি পৃথক এলাকায় তৈরি করা পণ্যের নামানুসারে তিনটি স্থান আছে। যেখানে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন কারখানা। তাওয়াপট্টিতে আছে ছোট-বড় প্রায় ৭০০ হালকা শিল্প-কারখানা আর এখানে মূলত তৈরি হয় গ্রিল কারখানা, তালা, ছাতার জালা, কব্জা, পাওয়ার প্রেস, প্লেঞ্জার, কেলাম, শিট, কয়েল, ওয়াশার, নাট-বোল্ট, স্ক্রু, তারকাঁটা, তোপকাটা, বালতি, অ্যালুমিনিয়ামের হাঁড়ি-পাতিল, কড়াই ইত্যাদি। টিনপট্টিতে তৈরি হয় টিন, শিট, কয়েল। এখানে অনেকগুলো কারখানা আছে। তবে এর বাইরেও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে বিদেশ থেকে আমদানিকৃত সেকেন্ডারি শিট মজুদ এবং গোপনে ঢেউটিন তৈরির কাজ হয়। এ প্রতিষ্ঠানগুলো করোগেশন মেশিনে দিন-রাত আমদানিকৃত জিপি শিট কেটে ঢেউটিন তৈরি করে বাজারে বিক্রি করে থাকে।

জিঞ্জিরার বৈশিষ্ট্য হলো এখানে খুব স্বল্পমূল্যের সামগ্রী ব্যবহার করে কারিগরেরা তৈরি করতে পারেন মানসম্পন্ন অনেক পণ্য। এমনকি তাঁদের দাবি মাত্র ২০-৩০ হাজার টাকা মূল্যমানের যন্ত্রে যে প্লেনশিট থেকে যে ঢেউটিন তাঁরা তৈরি করতে পারেন, তার গুণগত মান যথেষ্ট ভালো। তবে এর সত্যতা নিশ্চিত করার মতো কোনো প্রামাণিক দলিল পাওয়া যায়নি। লোহার সামগ্রী তৈরিতে জিঞ্জিরার বিশেষ সুনাম রয়েছে।

জিঞ্জিরা বাজারে প্রায় দুশোরও অধিক বিভিন্ন লোহার সামগ্রী তৈরির কারখানা রয়েছে, যা দেশের অভ্যন্তরীণ হার্ডওয়্যার শিল্পের বিশাল যোগান দেয় বলে অভিমত রয়েছে। জিঞ্জিরার কারখানায় উৎপাদিত বিভিন্ন সামগ্রীর মধ্যে ঢেউটিন, স্ক্রু, নাট-বল্টু, ক্লাম, তারকাটা, জিআই তার, আলতালা, হ্যাসবোল্ট, কব্জা, দা-বটি, শাবল, বালতি, চাপাতি, কুড়াল, কোদাল, কুন্নি, বিভিন্ন বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, ডেকোরেটর সামগ্রী, ওয়াশিং টব, পিতলের বার্নার(কেরোসিন চুলা), তামা ও পিতলের ডেগ, কলসি, ক্রোকারিজ, তাওয়া, টিফিন ক্যারিয়ার, চাইনিজ সাইলেন্সার/ডাব্বু, আশকল ডুম্বরি, নিক্তিকাঁটা, সাটার, কেচি গেট, লোহার জানালা, দরজা, অ্যালুমিনিয়ামের জগ-মগ ইত্যাদি অন্যতম।

এসব উপকরণ তৈরির কাচামাল আসে ঢাকারইনবাবপুর, নারায়ণগঞ্জ, ফতুল্লা, পুরোন ঢাকা প্রভৃতি এলাকা থেকে। তাওয়াপট্টিতে তৈরিকৃত গ্রিল কারখানা, তালা, ওয়াসার, নাট-বোল্ট ইত্যাদি তৈরিতে নিজেদের তৈরি পাওয়ার প্রেসের মাধ্যমে বানানো হয়। একসময় পাওয়ার প্রেসসহ বড় বড় যন্ত্র বিদেশ থেকে আমদানি করতে হলেও স্থানীয় কারিগররা উদ্ভাবনী শক্তি দিয়ে সেখানে প্রতিস্থাপন করতে সমর্থ হয়েছেন সম্পূর্ণ নিজস্ব তৈরিকৃত যন্ত্র। তবে সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয়টি হলো এখানকার সামগ্রীতে স্ক্র্যাপ মেটাল বা পরিত্যক্ত লোহার ব্যবহার, যা সংগৃহীত হয় ভাঙা জাহাজ কিংবা বিভিন্ন কারখানার ভাঙা সরঞ্জাম থেকে। জিঞ্জিরা লোহার বিভিন্ন সামগ্রী ছাড়াও মেলামাইন, আলকাতরা, নারিকেল তেল, শাড়ি-লুঙ্গি ইত্যাদির জন্য প্রসিদ্ধ।

এছাড়া জিঞ্জিরার কালিগঞ্জ দেশীয় গার্মেন্টস সামগ্রী, বিশেষত জিন্স প্যান্ট তৈরিতে সুনাম অর্জন করেছে। দেশীয় বাজারের জিন্সের প্রায় ৮৫ শতাংশ চাহিদা কালিগঞ্জ থেকে পূরণ হয় বলে স্থানীয়দের অভিমত পাওয়া যায়। এর পাশাপাশি রোহিতপুরের লুঙ্গি, জয়পাড়ার শাড়িও বিশেষ উল্লেখযোগ্য।এছাড়াও এই অঞ্চলে ভারত, জার্মানী, মালয়েশিয়া থেকে আনা কাঁচামালনির্ভর প্লাস্টিক সামগ্রী তৈরির কারখানা গড়ে ওঠে।

#পাটুয়াটুলি_পুরান_ঢাকা
পুরান ঢাকায় পাটুয়াটুলি রোড (রোড এর দুই পাশ ইলেক্ট্রনিক্স মার্কেট) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এর এর পর সদরঘাট এর আগে যদি আপনি গুলিস্তান থেকে সদরঘাট এর দিকে যান ইলেক্ট্রনিক এর মার্কেট আছে, স্টেডিয়াম এর চেয়ে অনেক বেশি সমৃদ্ধ।

#ইসলামপুর
ইসলামপুরকে বলা হয় পাইকারি কাপড়ের চকবাজার। এখানে নানা ধরণের নানা মানের প্যান্ট, স্যূট, কোট, শার্ট ও থি পিছ পাইকারি ও খুচরা পাওয়া যায়। 

#শ্যামবাজার
ঢাকার অন্যতম পুরাতন বাজার। এটা ব্রিটিশ শাসনামল থেকে ঢাকাবাসীর বিভিন্ন দ্রব্যের যোগান দিয়ে আসছে। বর্তমানে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্ববধানে বাজারটি পরিচালিত হচ্ছে। সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে পূর্ব দিকে ৮ ১৫ গজ দূরে শ্যমবাজারের সীমানা শুরু।

এই বাজারে সাধারণত ফজর নামাযের পর থেকে সকাল ১১.০০ টা পর্যন্ত বেশী ভিড় হয়। কোন সাপ্তাহিক বন্ধ নেই এবং প্রতিদিন ভোর বেলা থেকে রাত ৮.০০ টা পর্যন্ত স্বাভাবিক লেনদেন হয়ে থাকে। সাধারণত প্রায় দৈনন্দিন খাদ্য তালিকার সব কাঁচা বাজার ও ফলমূল পাওয়া যায়। যেমন আলু, পেঁয়াজ, মরিচ, বেগুন, মাছ, সবজি, পটল, করলা ইত্যাদি। আর ফলমূল এর মধ্যে রয়েছে আম, জাম, কলা, লিচু, তেঁতুল, আনারস, পেয়ারা ইত্যাদি। এছাড়া তেল, লবণ, মসলাও পাওয়া যায়।

বাজারের বিভিন্ন ধরনের ভাগ আছে। যেমন ১নং রোডে বুড়িগঙ্গা নদীর পাড় ঘেঁষে রয়েছে আম, কাঁঠাল, লিচু এবং অন্যান্য ফল আর নদীর পাড়ের রাস্তার বিপরীত পাশে পাওয়া যায় আলু, পেঁয়াজ, আদা, রসুন ইত্যাদি। মূল বাজারের মাঝামাঝি ও নদীর পাড় ঘেঁষে বিভিন্ন রকম শাক-সবজির বাজার বসে।

#বাংলাবাজার
বর্তমানে বাংলাবাজার বাংলাদেশের মধ্যে বইয়ের বৃহত্তম মার্কেট। বাংলাদেশের প্রকাশনা ব্যবসা আবতির্ত হচ্ছে বাংলাবাজারকে ঘিরে। পাঠ্যবইসহ অন্যান্য অনেক ধরনের বই পাওয়া যাচ্ছে যেখান থেকে। বাংলাদেশের বড় বড় প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলোর অফিসও বাংলাবাজারেই অবস্থিত। এছাড়াও পোশাক সামগ্রীর জন্যও এটি বিখ্যাত।

#মতিঝিল
ঢাকা শহরের প্রধান বানিজ্যিক এলাকা। এটি ঢাকা শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত। এখানে রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক জনতা ব্যাংক সহ বহু প্রতিষ্ঠানের মূল কার্যালয় । 

#আরামবাগ
বিভিন্ন ক্রীড়া সংঘ, কম্পিউটার্স, কম্পোজ, ডিজাইন, প্রিন্টিং প্রেস ইত্যাদির জন্য বিখ্যাত 

#এলিফ্যান্ট_রোড
জুতা, ব্যাগ, সিরামিকস/চীনামাটির বাসনপত্র, কাপড়, পর্দা, দর্জা জানালার পর্দা, বেডিং সামগ্রী নতুন পূরাতন কম্পিউটার, ক্রয় বিক্রয় ও মেরামত।

#মাল্টিপ্লান
এলিফ্যান্ট রোডে অবস্থিত কম্পিউটার, ইলেক্ট্রনিক্স, ক্যামেরা সামগ্রীর বৃহৎ মার্কেট। ইষ্টার্ণ মল্লিকা, এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা 

#কাঁটাবন
ইসলামি বইপত্র, সিডি, বোরখা, হিজাব, সুগগ্ধি, অ্যাকুরিয়াম, পোষা নানা ধরণের পাখি, কুকুর, বিড়াল, কোম্পানি নেমপ্লেট, সাইনবোর্ড ব্যানার প্রিন্ট ব্রান্ডিং সামগ্রী।

#নিউমার্কেট
১৯৫২-৫৪ সালে নির্মিত একটি বিপণি কেন্দ্র। পর্যায়ক্রমে এটি ঢাকার বাইরের ক্রেতাদেরও আকর্ষণ করে। মার্কেটটি আজিমপুরে অবস্থিত, যার পূর্বদিকে রয়েছে মিরপুর রোড, উত্তরে ঢাকা কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও নীলক্ষেত এলাকার কাছেই এবং দক্ষিণে পিলখানা রোড। মার্কেটটির পাশেই খুচরা দোকানের একটি কেন্দ্র আছে। সেখানে কাপড়-চোপড়, ঔষধ, টয়লেট সামগ্রী ও গৃহস্থালি ব্যবহারের টুকি-টাকি দ্রব্যাদি বিক্রয় হয়। এছাড়া, বেশ কয়েকটি দোকানে বিক্রয় হয় প্রসাধনী সামগ্রী, স্যুভেনির ও শোপিস সামগ্রী, তৈজসপত্র, হালকা বৈদ্যুতিক দ্রব্য ও আসবাবপত্র। মার্কেটটির উত্তর দিকে মুদির দোকান এবং মাছ, মাংস, ফল-মূল ও সবজির বাজার রয়েছে।

আজকের দিনে নিউমার্কেটবলতে ভিতরে এবং বাইরে বৈচিত্র্যপূর্ণ দোকানের এক বিপুল সমাহারকে বোঝায়। মূল মার্কেটে তিনটি উঁচু খিলানযুক্ত প্রবেশদ্বার রয়েছে, ভিতরে আছে বই-পত্র ও লেখা-লেখির সামগ্রী, ঘড়ি, চশমা, চামড়ার সামগ্রী ও ভ্রমণের উপকরণাদি, মুদি দ্রব্যাদি, কাপড়-চোপড়, অলঙ্কার ও বৈদ্যুতিক দ্রব্যাদি এবং দরজি, ফাস্টফুড ও ছবি তোলা ও প্রসেসিং-এর দোকান। দোকানগুলির সামনে একটা আচ্ছাদিত টানা বারান্দা রয়েছে। মার্কেটটিতে মোট ৪৬৮টি দোকান রয়েছে এবং বাজার করতে আসা ক্রেতারা এখানে তাদের চাহিদা অনুযায়ী প্রায় সব জিনিস-পত্রই পেয়ে থাকে।

#গাউসিয়া_মার্কেট
নিউমার্কেটের বিপরীতে, পোশাক সামগ্রীর জন্য বিখ্যাত 

#চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট
নিউমার্কেটের উত্তরে অবস্থিত পোশাক সামগ্রীর জন্য বিখ্যাত।

#নীলক্ষেত
ঢাকা শহরের স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী এবং তাদের অভিভাবকদের নিকট নীলক্ষেত অত্যন্ত পরিচিত এবং অতি প্রয়োজনীয় মার্কেট। স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছেও এ মার্কেট গুরুত্ব বহন করে। কেননা, দেশি-বিদেশি বিভিন্ন লেখকদের বই তথা প্রয়োজনীয় সকল বই-পত্রের জন্য নীলক্ষেত বই মার্কেটের বিকল্প নেই ঢাকা শহরতো বটেই, সারা দেশেও। বইয়ের মার্কেটের ক্ষেত্রে নীলক্ষেত বই মার্কেট তাই একচ্ছত্র আধিপত্য ভোগ করছে।

এখানে বইয়ের পাশাপাশি ফটোকপির দোকান, বাইন্ডিং অর্থাৎ বাঁধাইয়ের দোকান, কম্পিউটারে বিবিধ কাজ করার দোকান, ছাপাখানা, সাইবার ক্যাফে, অটো ক্যাড প্রিন্টিংয়ের দোকান, টেইলার্সের দোকান ও খাবার দোকান অবস্থিত। ৫ টি মার্কেটের সমন্বয় হচ্ছে নীলক্ষেত বই মার্কেট এখানে নতুন ও পুরাতন বোর্ড বই, রেফারেন্স বুক, ম্যাগাজিন প্রভৃতি সকল ধরনের বই পাওয়া যায়।

#ইসলামিয়া_বহুমুখী_সমবায়_সমিতি
স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল, ইঞ্জিনিয়ারিং, আইন, ইংরেজী মাধ্যম স্কুল, বিসিএস এবং অন্যান্য প্রতিযোগতামূলক পরীক্ষার নতুন ও পুরাতন বই পাওয়া যায়।

#বিসিএস_কম্পিউটার_সিটি
বেগম রোকেয়া স্বরণী, আগারগাঁও, শেরে বাংলা নগর, ঢাকা ১২০৭। ২০০০ ইং সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। শপিং মলটি আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন, নিজস্ব স্ট্যান্ডবাই জেনারেটর সুবিধাসহ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এবং টাইলস সজ্জিত নতুন ভবনে অবস্থিত। মার্কেটটিতে মোট দোকানের সংখ্যা ৩৫০ টি। মার্কেট মালিক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক শপিং মলটি পরিচালিত হয়। এটি দেশের বৃহত্তম কম্পিউটার মার্কেট।

#মোতালেব_প্লাজা_হাতিরপুল
মোবাইল ফোন সামগ্রী বিক্রয় মেরামত ও পাইকারি বিক্রয় শপিং মলটি আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন, এস্কেলেটর সুবিধা, নিজস্ব স্ট্যান্ডবাই জেনারেটর সুবিধাসহ শীতাতপ নিয়ন্ত্রীত এবং টাইলস সজ্জিত নতুন ভবনে অবস্থিত। এখানে মোট দোকান সংখ্যা ১২০০ টি। মালিক সমিতি কর্তৃক শপিং মলটি পরিচালিত হয়। 

#হাতিরপুল_বাজার
সিরামিক টাইলস, বাথরুম ফিটিংস সামগ্রী, কাঁচাবাজার, ইত্যাদি। 

#আজিজ_সুপার_মার্কেট_শাহবাগ: 
টি-শার্ট, পাঞ্জাবী, ফতুয়া, থ্রি-পিছ ইত্যাদি পোশাক সামগ্রী, কারুপন্য, হস্তশিল্প ইত্যাদির জন্য জনপ্রিয়।


#শাহবাগ_মোড়
যাবতীয় ফুল ও ঔষধ পাওয়া যায়।

#গাউসুল_আজম_মার্কেট
নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির সাথে অবস্থিত। এখানে রয়েছে ২০০ এর অধিক দোকান। এখানে যে সব সুবিধা পাওয়া যায়- ফটোকপি, সাইবার ক্যাফে, মুদ্রন ও প্রিন্টিং, টেইলার্স, ছবি বাঁধাইয়ের দোকান, কম্পিউটারের বিভিন্ন কাজ।

রাস্তার সামনের অংশটিকে সিটি কর্পোরেশন মার্কেট বলা হয়। এখানে রয়েছে খাবার দোকান, ফটোকপির দোকান A3, A4 অটো ক্যাড প্রিন্টিং এর দোকান।

#ইস্টার্ন_প্লাজা
১ম তলা প্রসাধনী, ইলেকট্রনিক, থালা বাসন ইত্যাদির দোকান।
২য় তলা শাড়ী, সেলয়ার কামিজ, টি-র্শাট, টেইলার্স ইত্যাদির দোকান
৩য় তলা গয়না, সোনা, রূপা, ছোট বাচ্চাদের খেলনার দোকান।
৪র্থ তলা জুতার দোকান, বিভিন্ন ব্রান্ডের জুতার দোকান।
৫ম তলা মোবাইলের দোকান, এবং মোবাইল সার্ভিসিং করার দোকান।
৬ষ্ট তলা মার্কেট মালিক সমিতি অফিস।
৭ম তলা ডাক্তার চেম্বার।
৮ম তলা ডাক্তার চেম্বার, অফিস।
৯ম তলা ঘটক পাখি ভাই।

#কারওয়ান_বাজার
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার ও ঢাকা শহরের সবচেয়ে বড় কেন্দ্রীয় পাইকারী ও খুচরা বাজার। ঢাকা শহরের অন্যতম বাণিজ্যিক এলাকা হিসেবে এখানে অনেক বড় বড় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। দৈনিক প্রথম আলো, দ্যা ডেইলি স্টার (বাংলাদেশ), দি ইন্ডিপেন্ডেন্ট এবং আরও অনেক খবরের কাগজের প্রধান অফিস কাওরান বাজারে অবস্থিত।

এছাড়াও একুশে টেলিভিশন, এনটিভি, এটিএন বাংলা, এটিএন নিউজ বাংলাভিশন আরটিভি টেলিভিশনের প্রধান কার্যালয় এবং স্টুডিও কাওরান বাজারে অবস্থিত।

#ফার্মগেট
বিভিন্ন কোচিং প্রতিষ্ঠান, কৃষি সামগ্রী, যন্ত্রপাতি, বইপত্র, কমদামী কাপড়, জুতা ইত্যাদি

#পান্থপথ:
কোচিং, আইটি প্রতিষ্ঠান, কাঠ, প্লাইউড, বেত, স্টিলের ফার্নিচার, অফিস কেবিনেট সামগ্রী।

#বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স:
বসুন্ধরা সিটি ভবনটি একটি ২১ তলাবিশিষ্ট ভবন, যার নিচের ৮টি তলা বিপণী বিতানের জন্য ব্যবহার করা হয় এবং অবশিষ্ট তলাগুলি বসুন্ধরা গ্রুপের দপ্তর হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ভবনের বিপণী বিতান অংশে প্রায় ২,৫০০টি দোকানের জায়গা রয়েছে। এছাড়াও আছে খাবারের দোকানের জন্য একটি নির্দিষ্ট তলা, মাটির নিচে বা বেসমেন্ট লেভেলে অবস্থিত একটি বড় শরীরচর্চা কেন্দ্র, একটি মাল্টিপ্লেক্স সিনেমা হল এবং এর উপরের তলাতে শিশুদের বিনোদন কেন্দ্রসহ একটি খাবারের রেস্তোরাঁ। ছাদে বাগানসহ সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এই বিপণী বিতানটি ঢাকার নগরীর আধুনিকায়নের অন্যতম প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

#বাংলামটর:
মোটরগাড়ির যন্ত্রপাতি সামগ্রী। 

#বেনারশী_পল্লী:
বেনারশী পল্লী একসময় শুধুমাত্র বেনারশী শাড়ির জন্যই বিখ্যাত ছিল। গত বছর কয়েক ধরে মিরপুর বেনারশী পল্লিতে বেনারশী শাড়ি ছাড়াও অন্যান্য সব ধরনের শাড়ি পাওয়া যায়। বেনারশী শাড়ি-Old + New, টাঙ্গাইল তাঁতের শাড়ি (কটন)। টাঙ্গাঈল হাফ সিল্ক। রাজশাহী সিল্ক। ধুপিয়ান। ঢাকাই মসলিন। কাতান। কোটা শাড়ি। ব্রোকেট শাড়ি। জামদানী শাড়ি। জর্জেট শাড়ি ইত্যাদি। এ ছাড়াও আরো নতুন নতুন কালেকশন পল্লীতে তৈরী হচ্ছে।

#গুলিস্তান:
সবধরণের কাপড়, জুতা, খেলনা, ক্রোকারিজ, ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রীসহ সব ধরণের জিনিসপত্র পাওয়া যায়। এখানেই বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের রাস্তার নিচে আসে ঢাকার একমাত্র আন্ডার গ্রাউন্ড মার্কেট যেখানে মূলত মোবাইল ফোন মেরামত ও এর নানা এক্সেসরিজ বিক্রয় করা হয়।

#যমুনা ফিউচার পার্ক:
বিশ্বের তৃতীয় এবং এশিয়ার সর্ববৃহৎ শপিংমল হিসেবে পরিচিত যমুনা ফিউচার পার্ক। রাজধানীর কুড়িলে অবস্থিত এই শপিং কমপ্লেক্সটিতে সকল ধরনের কেনাকাটা ও বিনোদন সুবিধা রয়েছে। প্রগতি সরণি থেকে ফিউচার পার্ক প্রাঙ্গণে প্রবেশ করলে প্রথমেই পড়ে আউটডোর রাইডস। সারা পৃথিবীতে তোলপাড় করা ছয়টি রোমাঞ্চকর রাইড রয়েছে এখানে।

বর্ণিল আলোকছটায় উদ্ভাসিত ফিউচার পার্কের এই আউটডোর রাইডসের রোলার কোস্টার, স্কাইড্রপ, ম্যাজিক উইন্ডমিল, পাইরেট শিপ, ফ্লাইং ডিসকো ও টাওয়ার চ্যালেঞ্জার রীতিমতো শিহরণ জাগানিয়া। প্রথম তলার পুরোটাই গাড়ি পার্কিং এর জন্য নির্ধারিত। অন্যান্য ফ্লোরগুলো পণ্যের ক্যাটাগরী ভিত্তিক বিন্যাস করা হয়েছে। প্রতিটি ফ্লোরকে দক্ষিণ-পশ্চিম”, “উত্তর-পশ্চিম”, “দক্ষিণ-পূর্বউত্তর-পূর্বঅংশে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি ভাগে নির্দিষ্ট ক্যাটাগরীর পণ্য ও সেবা পাওয়া যাবে। এই শপিংমলের ষষ্ঠ তলার সম্পূর্ণটাই বিনোদন জোন হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। ষষ্ঠ তলায় রয়েছে ফুডকোর্ট, রেষ্টুরেন্ট, প্লেয়ারস জোন, ব্লকবাস্টার সিনেমাস প্রভৃতি।

#হযরত_শাহজালাল_মার্কেট:
এখানে মেডিক্যাল, ও লেভেল, এ-লেভেল, বিবিএ, এমবিএ, জিম্যাট (GMAT), স্যাট, (SAT), টোফেল (TOEFL), জিআরই (GRE), আইইলটিস (IELTS) এর প্রয়োজনীয় বই পাওয়া যায়।


33 comments:

  1. কোথায় ব্যাগ পাওয়া যাবে

    ReplyDelete
  2. রাবার ষ্ট্যাম্প সীল এর মালামাল কোথায় পাওয়া যায়। একটু বলবেন।

    ReplyDelete
  3. গার্মেন্টসের মেশিনের পাইকারী দোকান কোথায়?

    ReplyDelete
  4. কোথায় পাইকারি মুখের মাস্ক পাওয়া যাবে

    ReplyDelete
  5. aotor,topi,tasbi.surma.islamic jinis potro paikari khotai paoa jai bolben.

    ReplyDelete
  6. কোথায় পাইকারী বাথরুমের জি আই ফিটিংস পাওয়া যায়

    ReplyDelete
    Replies
    1. কিচেন থেকে অথবা খানা গুলি পাইকারী কোথায় পাওয়া যাবে

      Delete
  7. kothay sundor high heel juta paoa jay?

    ReplyDelete
  8. আগরবাতি মেশিন কোথায় পাওয়া যায়?

    ReplyDelete
  9. কাঠের তৈজসপত্র বা কাঠের সো পিস কোথায় পাওয়া যাবে??

    ReplyDelete
  10. মোম তৈরির মোম পাইকরি কোথায় পাওয়াযাবে

    ReplyDelete
  11. Ladies germents iteam kothai paoa jabe?

    ReplyDelete
  12. পাট ও পাটজাত পণ্যের পাইকারি মার্কেট কোথায় জানালে উপকৃত হতাম

    ReplyDelete
  13. মাটির তৈরী জিনিস পাইকারী দামে কোথায় পাওয়া যাবে ? জানালে উপকৃত হব

    ReplyDelete
  14. রেক্সিন পাইকারি দামে কোথায় পাওয়া যা?

    ReplyDelete
  15. পাইকারি ঔষধ কোথায় পাওয়া যাবে

    ReplyDelete
  16. জিপসাম বোর্ড পাইকারি দামে কোথায় বিক্রি করা হয় জানাবেন প্লিজ

    ReplyDelete
  17. ফাস্টফুড সরবারহকারী কা‌রো ঠিকানা আ‌ছে?

    ReplyDelete
  18. পাইকারি চিনির বাজার Kothay pavo?

    ReplyDelete
  19. মুরগির খাদ্য পাত্র কোথায় পাওয়া যাবে

    ReplyDelete
  20. কমদামি প্লাস্টিক এর মাল কোথায় পাওয়া যায় বলবেন কি???????

    ReplyDelete
  21. বসুন্ধরার লেডিস আইটেম গুলো কোথায় থেকে নেয়?

    ReplyDelete
  22. কোথায় পাইকারি ছাতার কাপরের ফিতা পাওয়া যাবে??

    ReplyDelete
  23. কোথায় পাইকারি আচার পাওয়া যায়?

    ReplyDelete
  24. চক তৈরীর কারখানার ঠিকানা জানতে চাই

    ReplyDelete
  25. গাজীপুর মোবাইল চার্জার ফেক্টরি আছে ঠিকানা কেউ দিতে পারবেন?

    ReplyDelete
  26. পাইকারি ও কম দামে ঢাকার কোথায় কি পাওয়া যায়! - Preparing For Business Not For Bcs >>>>> Download Now

    >>>>> Download Full

    পাইকারি ও কম দামে ঢাকার কোথায় কি পাওয়া যায়! - Preparing For Business Not For Bcs >>>>> Download LINK

    >>>>> Download Now

    পাইকারি ও কম দামে ঢাকার কোথায় কি পাওয়া যায়! - Preparing For Business Not For Bcs >>>>> Download Full

    >>>>> Download LINK

    ReplyDelete
  27. পাইকারি ও কম দামে ঢাকার কোথায় কি পাওয়া যায়! - Preparing For Business Not For Bcs >>>>> Download Now

    >>>>> Download Full

    পাইকারি ও কম দামে ঢাকার কোথায় কি পাওয়া যায়! - Preparing For Business Not For Bcs >>>>> Download LINK

    >>>>> Download Now

    পাইকারি ও কম দামে ঢাকার কোথায় কি পাওয়া যায়! - Preparing For Business Not For Bcs >>>>> Download Full

    >>>>> Download LINK U1

    ReplyDelete
  28. ভাই কেউ দুধ পাইকারি দেয় জানা থাকলে নাম্বার টা দিবেন পিল্জ

    ReplyDelete

Powered by Blogger.