প্রিপারিং ফর বিজনেস নট ফর বিসিএস

আরো বিজনেস আইডিয়া ও লেখা আসছে...

Our views

বর্তমান খোলা বাজার অর্থনীতির যুগে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যেতে এবং একই সাথে নিজেদের জীবন-যাত্রার উন্নয়ন রাখতে দরকার ভিন্ন ভিন্ন ক্রিয়েটিভ পেশা। আমাদের দেশে পেশা কে মোটা দাগে দুই ভাবে ভাগ করা হয়ঃ ১। চাকুরী এবং ২। ব্যবসায়। মনে করা হয় যারা উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হবেন তারা অবশ্যই চাকুরী করবেন, না হলে তার শিক্ষায় ব্যর্থ এবং যারা অশিক্ষিত, স্বল্প শিক্ষিত বা উচ্চ বিত্ত্ব পরিবারের লোকজন তারাই শুধু ব্যবসায় করবেন। এই ধ্যান-ধারণা থেকে আমরা দেখতে পাচ্ছি সমাজের উচ্চ শিক্ষিত শ্রেণী ছুটেন চাকুরীর পিছনে। তারা নিজেরা কিছু করতে না চেয়ে বরং তারা অন্যের বেতনভুক্ত হিসেবে কিছু করাতেই নিজেদের সফল হিসেব মনে করে তৃপ্তির ঢেকুর তোলেন। এজন্যই দেখা যায়, মেধাবীরা ভাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েই দাসত্বের চিন্তায় বিভোর হয়ে শুরু করেন সরকারি-বেসরকারি নানা চাকুরীর পড়াশুনা। এমনকি কেউ কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিন থেকেই শুরু করে বিসিএস নামক স্বপ্নের পিছুনে ছুটা। ভাই সবাই যদি চাকর হবি মনিব হবি কে? 

বিসিএস ক্যাডার হন আর ব্যাংকের অফিসার হন তাতে কোন প্রবলেম নাই, কিন্তু প্রবলেম হলো সব মেধাবীরা যদি চাকুরী করেন তবে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে দক্ষ নেতৃত্ব তৈরিতে শূন্যতার সৃষ্টি হবে। মেধাবী নেতৃত্ব দেশের ব্যবসায় কে নিয়ে যেতে পারে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের কোন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠা কেন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি হতে পারে নি? কেন বিদেশি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান আমাদের দেশের টাকা তাদের দেশে নিয়ে যাচ্ছে? কেন আমাদের আন্তর্জাতিক মানের কোন ব্র‍্যান্ড নেই। এই প্রশ্নগুলো কি আমরা নিজেদের কখনো করেছি নাকি ভেবে দেখেছি? আসলে আমরা ব্রিটিশদের শিখিয়ে যাওয়া গোলামিতেই আটকে আছি। আমরা নিজের অধিনে কর্মী রেখে তত্বাবধানের চেয়ে অন্যের অধিনে নিজে তত্বাবধায়ন হতে বেশি পছন্দ করি।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে শুধু নয় সমগ্র পৃথিবীর ক্ষেত্রেই চাকুরীর চেয়ে পেশা হিসেবে ব্যবসায়ই বেশি নির্ভরযোগ্য। গলির মুদি দোকানি থেকে এপল বা গুগল সবই ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। চাকুরী আয়ের সীমাবদ্ধতা আছে কিন্তু ব্যবসায়ে নেই। সবচেয়ে মজার বিষয় হল আমাদের দেশের বিজনেস স্টাডিজ-এ বিবিএ, এমবিএ কিংবা আইবিএ থাকলেও সেখান হতে ব্যবসায়িক পাত্রের থেকে চাকুরীজীবী পাত্রই বেশি বের হয়। আর বেচারা ব্যবসায়ী পাত্রের প্রাথমিক কদর বিয়ের মার্কেটে খুবই কম হলেও সফলতা পেলে তার পিছনে পাত্রীর অভিভাবকের লাইন পরে যায়।

আমাদের এই গ্রুপ ক্রিয়েট করার উদ্দেশ্য হল ব্যবসায়িক নেতৃত্ব সৃষ্টি করার লক্ষ্যে কোটি মানুষ নয় কয়েক হাজার মানুষকে সচেতন করা। নিজের বিজনেস নিজেই দাঁড় করানো কিংবা বেকারত্বের অভিশাপ হতে মুক্ত হতে শুধু চাকুরী নয় ব্যবসায়ের পিছনেও দৌড়াবে এই লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ও উদ্দিপনা ক্রিয়েট করা সবার মাঝে। এই গ্রুপে বিজনেস এজুকেশন রিলেটেড সব কিছু থাকবে। বিজনেস স্টার্ট আপ থেকে ম্যাচুরেড বিজনেস, সফল বিজনেস থেকে ব্যর্থ বিজনেস সব আলোচনায় হবে।  

আশা করি এই গ্রুপের মাধ্যমে ইন্সপায়ারড হয়ে একজন বিল গেটস না হোক একজন স্টিভ জবস যেন সৃষ্টি হয় বাংলাদেশে।


sTay Hungry, sTay Foolish... 



No comments

Powered by Blogger.